নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দু’পক্ষের বিরুদ্ধেই মামলা নিয়েছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ।
এই মামলায় স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা মোবারক হোসেন ও জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মো. সানাউল্লার ভাই ও ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক ও মেয়ে ফাহমিদা আক্তার শিমু তাদের সহযোগি রাতুলসহ উভয় পক্ষের মোট ৪ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার রাতে তাদের গ্রেফতারের পর শনিবার দুপুরে তাদেরকে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
এদিকে, দুই মামলার আসামীদের মধ্যে মোবারক হোসেনের ছেলে জেলা ছাত্রলীগ নেতা সামিউল সিনহা, ভাগিনা ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগ নেতা ইমরান হোসেন শুভ, ওমর ফারুকের দুই ছেলে নিলয় ও সামির পলাতক রয়েছেন।
জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরেই প্রভাব বিস্তার নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছিলো। গত ৯ মে রাতে মোবারক হোসেনের ছেলে সামিউল সিনহা, ভাগিনা ইমরান হোসেন শুভ এবং তাদের প্রতিপক্ষ ওমর ফারুকের দুই ছেলে নিলয় ও সামির গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
ওই সংঘর্ষে সিনহা ও শুভ গ্রুপ অপরদিকে রাফিউল ইসলাম উদয় ও রাকিবুল গ্রুপ এলোপাথারী কুপিয়ে দুই গ্রুপের দুইজন রক্তাক্ত জখম হয় , ঐ ঘটনায় ও দুই গ্রুপের পাল্টা-পাল্টি ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু এরপরও উভয় গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছিলো। একপর্যায়ে তা আরো ব্যাপক আকার ধারণ করে।
এরপর গত শুক্রবার (৫ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর পিলকুনী এলাকায় উভয় পক্ষের মধ্যে পূনরায় সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। এই ঘটনায় স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক এবং প্রতিপক্ষ আওয়ামীলীগ নেতা মোবারক হোসেনসহ উভয় পক্ষের বেশ কয়েক জন আহত হয় এবং বাড়ী ও দোকান ভাংচুর হয়। এরপর দুই গ্রুপ থানায় পাল্টা-পাল্টি মামলা দায়ের করেন।
ওমর ফারুকের মামলায় মোবারক হোসেনকে প্রধান আসামী করে তার ছেলে সামিউল সিনহা, ভাগিনা এমরান হোসেন শুভ ও তাদের সহযোগি রাতুলকেসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২৫/৩০ জনকে আসামী করা হয়।
অন্যদিকে মোবারক হোসেনের পক্ষে মাসুদ খন্দকার বাদি হয়ে ওমর ফারুককে সহ তার তিন ছেলে-মেয়ে নিলয়, সামির ও মাহমুদা আক্তার সীমাকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় উভয় পক্ষের জনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসলাম হোসেন বলেন, উভয় পক্ষের বিরুদ্ধে মামলা নেয়া হয়েছে। এরপর শুক্রবার রাতেই উভয় পক্ষের ৪ জনকে গ্রেফতার করে আজ শনিবার দুপুরে তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।